মূলত ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন সহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি গুলির বীজতলা এখন তৈরি করছেন কৃষকেরা। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টিতে বীজতলায় ছোট ছোট চারা গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারি বৃষ্টির ফলে বীজতলার সঠিক পরিচর্যা করতে পারছেন না কৃষকেরা। সাদা পলেথিন দিয়ে বীজতলা ঢাকা দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে পচে নষ্ট হচ্ছে চারা। তবে এই বর্ষার মরশুমেও চারাগাছ রক্ষা করার উপায় রয়েছে। কি ভাবে কৃষকেরা বর্ষার হাত থেকে সবজি বাঁচাবেন তার পরামর্শ দিচ্ছেন মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক।
কৃষকদের উদ্দেশ্য উদ্যান পালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, জমি থেকে বীজতলা কিছুটা উঁচু করতে হবে। এতে সহজে জল দাঁড়াতে পারবে না। বীজতলার মাটি ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে নিতে হবে। অপরদিকে বীজগুলিও ছত্রাকনাশক করতে হবে। এতে গাছ ভাল হয়, অপরদিকে ফলন ভাল হবে। সবজির জমি উঁচু নির্বাচন করতে হবে। কোনভাবেই জল জমতে দেওয়া যাবে না সবজি জমিতেও। সবজির গাছ রোপন করার পর জল জমে থাকলে গাছ পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিশেষ করে টমেটো, ফুলকপি ও বাঁধাকপি নরম প্রকৃতির গাছ। এই সবজি গাছগুলি দ্রুত পচে যায়। তাই দ্রুত ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করতে হবে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে জেলা ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল সাহা জানান, অকাল এই বর্ষণে, শীতকালীন যে সমস্ত বীজ রোপণের ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক বন্ধুরা। তবে রাজ্য সরকার এবং জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে কৃষকদের। তবে বৃষ্টির কারণে শীতকালীন বীজ নষ্ট হলে সবজির দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment