নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা :- পারিবারিক বিবাদে লাগলো রাজনৈতিক রঙ। পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের জেরে মাথা ফাটলো একই পরিবারের তিন ভাইয়ের। আহত হয়েছে আরোও ৪ জন। এমনকি মহিলাদেরকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওই পরিবারের অপরপক্ষের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর থানায় এসে ১৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন আক্রান্তরা।
অন্যদিকে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, আক্রান্তরা কংগ্রেস সমর্থক এবং অভিযুক্তরা তৃণমূল সমর্থক। এই কারণেই পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বলে দাবি কংগ্রেসের। মালদার চাঁচল-১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিরোজাবাদ গ্রামের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার পরিবারের দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত ছিল। হঠাৎই অভিযুক্তরা মুন্নি বিবির স্বামী, দেওর ও তার শ্বশুরের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বচসা থেকে শুরু হয় মারধর। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যের মধ্যস্থতায় ওই দিন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিবারের দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে। কিন্তু সমঝোতার পরেও ক্ষান্ত হননি অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তরা পুনরায় মুন্নি বিবির স্বামী ও দেওরদের উপর চড়াও হয়ে বাঁশ লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
মারধরের ঘটনায় মনসুর আলী, তাজমুল আলী ও হারুন আলীর মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়। এছাড়াও মুন্নি বিবি তার শ্বশুর তমিজুদ্দিন এবং শাশুড়ি নুর নেহারও অভিযুক্তদের হামলার শিকার হন। এমনকি মুন্নি বিবির শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাহায্যে আহতরা চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালে আসেন। সেখানে তিনজনের মাথায় সেলাই করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী মুন্নি বিবি বলেন, যারা আমাদের মারধর করছে, তারা আমার কাকাতো শ্বশুরের ছেলে। তারা আমাদের উপর মারধর করলো কেন।তার কারণ বুঝতে পারছি না। আমার স্বামীর ওই দুই দেওরের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধ শ্বশুরকে ছাড়েনি ওরা। আমাকেও মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। ওদের শাস্তির দাবিতে আমরা থানায় অভিযোগ করলাম। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই গ্রামের প্রাক্তন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মাজেদ আলী খান দাবি করে বলেন, আমি আহতদের হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে থানায় নিয়ে এসেছি। এরা প্রত্যকেই কংগ্রেসের সমর্থক।যারা হামলা চালিয়ে তারা তৃণমূলের সমর্থক।পারিবারিক বিবাদ হলেও আমার অনুমান, এরা কংগ্রেস করার কারণেই আক্রান্ত হল। ভোটের আগে ওই পরিবারের মধ্যে কোনো গন্ডগোল দেখা যায়নি।
No comments:
Post a Comment