নিজস্ব প্রতিনিধি :- স্বামী রয়েছে ভিন রাজ্যে।শ্বশুরবাড়ি থেকে নব বধূর মৃত দেহ উদ্ধার করলেন পুলিশ। খুন নাকি আত্মহত্যা, তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে মেয়ের বাবার পরিবারের দাবি স্বামী ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এসে স্ত্রীকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে স্বামী ভিন রাজ্য থেকে কবে ফিরলেন এবং এখন কোথায় আছে তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। বিয়ের দুই মাস পরে যৌতুকের দাবিতে নব বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাড়ো গ্রামে। এই নিয়ে এদিন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতা ওই নব বধূর নাম মুস্তরি খাতুন (২৩)। ঘটনার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পলাতক। মুস্তরি খাতুনকে খুন করা হয়েছে বলে স্বামী মুতাহার আলি সহ পরিবারের সদস্যদের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার মেয়ের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিমুল আলির মেয়ে মুস্তরি খাতুনের সঙ্গে শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাড়ো গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে মুতাহার আলির। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে নব বধূকে আনতে অস্বীকার করতেন। এই নিয়ে পরিবারে একটা অশান্তি লেগে ছিল। বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসে। দুই মাস আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে ও রেজিস্ট্রি হয়। শ্বশুরবাড়িতে মাসখানেক থাকার পর ঈদের দুই দিন আগে বাবার বাড়ি চলে যায় মুস্তরি।
গত সোমবার শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন সে। বুধবার সকালে ফোন মারফতে নব বধূর মৃত্যুর খবর শুনতে পান পরিবারের লোকেরা। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে মেয়ের উপর।পিতৃহারা গরিব পরিবারের মেয়ে মুস্তরি মায়ের কাছ থেকে টাকা আনতে না পারায় স্বামীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করা হত, খেতে পর্যন্ত দেওয়া হত না। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সীমা ছাড়ালে বাধ্য হয়ে কয়েকদিন আগে বাপের বাড়ি ফিরে যান মুস্তরি।
আজ সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারেন। গিয়ে দেখে মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। টাকার দাবিতে ওরা মেয়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। ওদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন মেয়ের পরিবারের লোকেরা। খুন নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে জানা যাবে বলে জানান পুলিশ।


No comments:
Post a Comment