ডেস্ক রিপোর্ট, আমার কলম :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে, সোমবার, ৯ জানুয়ারী, কলকাতায় শুরু হলো জি-২০ সম্মেলন। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে সোমবার থেকে তিন দিন ব্যাপী এই জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়। আর এদিনের এই অনুষ্ঠানে উন্নয়নের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসাথে কাজ করার বার্তা দিলেন।পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন বাম জামানার কথাও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বামপন্থী মতধারার সঙ্গে লড়াই করে আমি এসেছি। আমি দেখেছি বাম জমানায় কোনও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছিল না।” তিনি আরও বলেন, - “কোভিড কালের ২ বছরে সব দেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।আমাদের রাজ্যও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদের রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে ৪ গুণ।” একই সঙ্গে তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়েও রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, - “রাজ্যে কর্মসংস্থান বেড়েছে এবং কমেছে দারিদ্রতা। এই রাজ্যে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, - “স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেল এবং স্মার্টফোন দেওয়া হয় এই রাজ্যে। এবং জাতি এবং ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।” এছাড়াও তৃণমূল জমানায় রাজ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে রাজ্যে এক কোটি কুড়ি লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে এরাজ্যে। এছাড়াও এদিনের বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন, - কন্যাশ্রী, দুয়ারে সরকার, সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের কথাও।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে চিরন্তন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ (গোটা বিশ্ব আমাদের ঘর) এর বার্তাই ছড়িয়ে দেন এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, - “আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি বিভেদ করি না। গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি। আপনারা যখন এখানে এসেছেন, তখন এই বাংলা আপনারও। এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে, এই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।”
No comments:
Post a Comment