নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া, আমার কলম :- ২৮ শে জানুয়ারী, শনিবার, হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয় দুই দিন ব্যাপী 'পাঁচলা এমএলএ কাপ - ২০২৩'। দুই দিন ব্যাপী এই ফুটবল টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয় পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের তালবান্দি বেলায়েত আলী হাই স্কুল মাঠে। এই ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ৮ টি দল অংশগ্রহণ করে। শনিবার এই 'পাঁচলা এমএলএ কাপ - ২০২৩' এর শুভ উদ্বোধন করেন পাঁচলার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গুলশান মল্লিক। এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয় পাঁচলা কেন্দ্র তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে।
রবিবার, 'পাঁচলা এমএলএ কাপ - ২০২৩' ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী পুলক রায়। উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জী। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (সদর) এর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস (সদর) এর সভাপতি কৈলাশ মিশ্রা।
পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি লাল্টু হাউলি। উপস্থিত ছিলেন পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ মেহেবুব আলম (হীরা)। উপস্থিত ছিলেন পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আলকাস মুরশেদ (বাবু)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলার নেতৃত্ববৃন্দ ও পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত স্তরের নেতৃত্ববৃন্দ।
এদিন 'পাঁচলা এমএলএ কাপ - ২০২৩' টুর্নামেন্টে বিজয়ী দলকে ট্রফি তুলে দেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জী। এদিন উপস্থিত অতিথিরা দুই দলের খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলেন। এদিন 'পাঁচলা এমএলএ কাপ - ২০২৩' এর ফাইনাল ম্যাচের খেলা দেখতে মাঠে ভিড় জমান বহু ফুটবল প্রেমী মানুষেরা।
এদিন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জী বলেন, খুব ভালো লাগছে, ফুটবল খেলা ভালোবাসি। ফুটবলই আমার জীবন। আমি অনেক এমপি কাপ দেখেছি, এমএলএ কাপ দেখেছি, আবার অনেক দেখিনি। কাউকে ছোটো করছি না কিন্তু আমার দেখা পাঁচলা এমএলএ কাপ সেরা। এতো মানুষের আবেগ, উচ্ছাস, ভালোবাসা প্রচুর মানুষের সমাগম। নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে। কিশোর-কিশোরী ও যুব সমাজের কাছে বার্তা, ফুটবলটা খেলো, কোনো দলবাজি নয়। সবাইকে পেলে বা মেসি হতে হবে না। ফুটবল খেললে শরীর ভালো থাকবে, মন ভালো থাকবে। পাঁচলাই একসময় ৩০ বছর আগে খুব ভালো ফুটবল খেলো হোতো। বিরোধীরা খেলা-মেলার সরকার বলছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, খেলা- মেলা করবে না তো কি করবে। সব খেলা মেলা হবে, মানুষ কাজ করবে, আনন্দ করবে। মমতা ব্যানার্জী যা করেছেন, আর কেউ করেনি। এশিয়াতে কেউ করেনি, এতো বড়ো কথা বললাম। দিদি যা করেছেন কেউ পারবে না। এতো বড়ো বড়ো কথা বলছেন বিরোধীরা, দিদির সাদা কাপড়ে একটা কালো ছিটে দেখাতে পারবেন না। যদি দেখাতে পারেন আমি এমপি ছেড়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা পলিটিকালি কোনো বদমাইশি করিনি, আর যারা করেছে তাদের দিদি ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ৩০ বছরে আমার দেখা সেরা নেত্রী। সব বড়ো বড়ো কথা বলছে ৭ বার এমপি, ২ বার রেল মিনিস্টার, ১ বার কোল মিনিস্টার, ১ বার স্পোর্টস মিনিস্টার, ৩ বার পর পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার নামে যা তা বলে যাচ্ছেন, আমি খুব বিরক্ত হই। দিদিকে সবাই ভালো বাসেন কাজের জন্য। খেলা হবে, খেলা হবে, এই মাটিতেই খেলা হবে। পাঁচলায় গুলশান মল্লিক আছেন, মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক। এরকম একটা এমএলএ পেয়ে আমি গর্বিত।
এদিন পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক বলেন, আমাদের হাওড়া সদরের ৩ বারের এমপি যা বলেছেন, আর কিছুই বলার নেই। এই খেলায় এতো মানুষের উৎসাহ ও ভালোবাসা। কোনো গন্ডগোল বা টু-শব্দ পেয়েছেন খেলার মাঝে। আগামীদিনে এই খেলাকে চালিয়ে যাবো। আগামীদিনে আরো সুন্দর ও ভালোভাবে খেলা অনুষ্ঠিত করবো। এলাকার মানুষ কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।


No comments:
Post a Comment