Breaking

Saturday, January 21, 2023

"বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির"-এর "বার্ষিক উৎসব - ২০২৩" অনুষ্ঠিত হল

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া, আমার কলম :- ২১ জানুয়ারী, শনিবার, গ্রামীণ হাওড়ার বাউড়িয়ায়, "বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির"-এর "বার্ষিক উৎসব - ২০২৩" অনুষ্ঠিত হল। "বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির"-এর বাৎসরিক অনুষ্ঠান এবছর চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করলো। এদিন দক্ষিণা কালী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় দেবীর বিশেষ পূজা অর্চনা। পাশাপাশি শিব মন্দিরেও অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পূজা অর্চনা। এদিন একটি বিশেষ যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় "বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির কমিটি"-র উদ্যোগে। 

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাউড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি শুভাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাউড়িয়া থানার অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন 'বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির কমিটি"-র সভাপতি বেনু কুমার সেন। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা ডেভিড রাও। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ দাস সহ অন্যান্য অতিথিরা। 

এদিন "বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির"-এর "বার্ষিক উৎসব - ২০২৩" উপলক্ষে এক অন্নকূট উৎসব এর আয়োজন করা হয়। বাউড়িয়ার বহু মানুষ এই অন্নকূট উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। 

এদিন "বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির কমিটি"-র সভাপতি বেনু কুমার সেন বলেন, উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান এর সহিযোগিতায়, এলাকার মানুষ ও উলুবেড়িয়া পৌরসভার সহযোগিতায় এই যজ্ঞ হচ্ছে। চার বছরে পদার্পন করলো এবং অতি নিষ্ঠার সঙ্গে এই যজ্ঞ পালন করা হয়। পুজোর মহাত্ম কি আছে জানতে চাইলে বলেন, এই এলাকায় শান্তি থাকুক ও থানা যাতে শান্তিতে চলে, মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। তার জন্যই প্রতি বছর এই কামনা করি মায়ের কাছে। এলাকার মানুষের জন্য বার্তা থাকবে, এই এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে, করুণাময়ী কল্যাণময়ী নিশ্চয় তিনি আমাদেরকে শান্তিতে রাখবেন। 

এদিন "বাউড়িয়া থানা দক্ষিণা কালী মন্দির"-এর পুরোহিত পার্থ চ্যাটার্জী (গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকার অনুমোদিত সদস্য) বলেন, ২০২০ সালের তৎকালীন ওসি কৌশিক নাগ মহাশয়ের অনন্ত প্রচেষ্টায় এই বাউড়িয়া থানায় কালীমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। তার পর থেকে এই বিগত দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব পালন পালন হচ্ছে। এটা হয় রতন্তী অমাবস্যার দিন প্রতিষ্টা হয়েছিলো। সেই থেকেই রতন্তী অমাবস্যার দিন এই পুজো হয়ে চলেছে। ভোর ৪ টে ৩০ মিনিটে মঙ্গলা আরতি দিয়ে, আরতি করেছেন মন্দিরের পুরোহিত রঞ্জিত কুমার চক্রবর্তী মহাশয়। পরে মায়ের বিশেষ পুজো নিত্য তিথি পুজো সেটা হবে। মায়ের বিশেষ ভোগ আছে। মায়ের চার রকম ভোগ হয় ভাত, পোলাও, খিচুড়ি ও পরমান্য। এখানে সাধারণত আমিষ ভোগ হয়। শোল, আম শোল। মায়ের বিশেষ পুজো হবে, সপ্তসতি মন্ত্রে যজ্ঞ ও আরতি হবে। শিবের রুদ্রাভিশেক হবে ভোলে বাবার। সারাদিন ধরে চলতে থাকবে পুজো। 


No comments:

Post a Comment

Adbox