নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া, আমার কলম :- ২০ জানুয়ারী, শুক্রবার, থেকে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচলা ব্লকের চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতে , পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক এর নেতৃত্বে শুরু হলো 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি। এদিন পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাঁচলা ব্লকের চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে 'অঞ্চলে একদিনে নেতৃবৃন্দের কর্মসূচি' অনুষ্ঠিত হয়।
এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চড়া পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হাজী শেখ আশরাফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হেমন্ত রায়। উপস্থিত ছিলেন চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ মেহেবুব আলম (হীরা)। উপস্থিত ছিলেন পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আলকাস মুরশেদ (বাবু)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্যরা এবং অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। পাশাপাশি এদিনের এই কর্মসূচিতে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু সাধারণ মানুষও উপস্থিত ছিলেন।
এদিন প্রথমে চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত মধ্যপাড়া মসজিদে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। তারপর পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা যান চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের আধিকারিকদের সাথে দিদির দূত হিসেবে কথা বলেন বিধায়ক গুলশান মল্লিক।
এরপর বিধায়ক গুলশান মল্লিক সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। শোনেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা। দিদির দূত হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা জানেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তারা পাচ্ছেন কি না। তারপর বিধায়ক গুলশান মল্লিক সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা দিদির দূত হিসেবে পরিদর্শন করেন পাঁচলা গার্লস হাই মাদ্রাসা। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের সাথে এবং ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন বিধায়ক গুলশান মল্লিক। তিনি এই বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল এর রান্নার ঘরেও ঘুরে দেখেন।
এরপর দলীয় কর্মী এবং সাধারণ মানুষের সাথে মধ্যাহ্নভোজ করেন বিধায়ক গুলশান মল্লিক। এরপর পাঁচলা লালপোল এর কাছে একটি জনসভাও করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। বিধায়ককে তাদের মাঝে পেয়ে খুবই খুশি এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা।
এদিন পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক বলেন, আমরা চড়া পাঁচলার গ্রামে বাড়িতে গিয়ে দেখা করবো। তাদের সাথে কথা বলবো তারা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। পাঁচলার বিধায়ক হিসাবে আমার অনেক দায়িত্ব থাকে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সেটা বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস দেখি না। না দেখে আমি কাজ করে দিই। বিরোধীদের কাজ বেশি করে করতে বলেছেন আমাদের নেত্রী। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করি। গরিব মানুষ মাটির বাড়ি আছে এমন বিরোধী দলের কেউ বাদ গিয়ে থাকলে ও আমরা ব্যবস্থা করবো। অনেক জায়গায় দিদির এই প্রকল্পে ক্ষোভ দেখাচ্ছে এই প্রশ্ন করলে বলেন কোথায় কি হচ্ছে আমার জানা নেই। আমার পাঁচলা কেন্দ্রে এরকম একটি ও ব্যক্তি নেই। তার কারণ আমরা সব কিছুই তাদের দিয়েছি ও পাশে আছি।
এদিন চড়া পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হাজী শেখ আশরাফ হোসেন বলেন, আমাদের চড়া পাঁচলায় কোনো অভিযোগ নেই। আবাস যোজনা নিয়ে কিছু সমস্যা সেটা কাগজের ত্রুটির জন্য। আমরা পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকি। বেশির ভাগ আবাস যোজনা বিরোধীদের দেওয়া হয়েছে।
এদিন চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হেমন্ত রায় বলেন, চড়া পাঁচলায় তেমন কোনো সমস্যা নেই। যে গুলি আছে সেই গুলি দেখার জন্য আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।
এদিন চড়া পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, এখানে মানুষ যেটা মূলত বলে লক্ষী ভান্ডার দিয়েই বলি বলে লক্ষী ভান্ডার পাচ্ছি না। তাদের ২৫ বছর না হলে সে পাবে না লক্ষী ভান্ডার তাদের অনেকের বয়স ২৪ আমরা বলি কাগজ ঠিক করে জমা দিন ২৫ বছর হলে আপনি পেয়ে যাবেন পরের বছর।
এদিন পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ মেহেবুব আলম বলেন, ৩৪ বছরের বাম শাসন করা একটা সরকারকে উৎখাত করে, বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করার একটা সুযোগ পেয়েছেন। মমতা ব্যানার্জীর প্রতি যে দুর্বলতা, আবেগ ও ভালোবাসা তারই প্রতিফলন হিসাবে আমরা মা মাটি মানুষের সরকার পেয়েছি। আমাদের যুব নেতা অভিষেক ব্যানার্জী বলেন যারা নতুন যুবক তারা স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলে কাজ করতে হবে।
এদিন পাঁচলা অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আলকাস মুরশেদ (বাবু) বলেন, দুয়ারে সরকার কোনো চমক নয়। মমতা ব্যানার্জী সরকার প্রতিষ্ঠা হবার পর বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ ১৫ টি প্রকল্প চালু করেছেন। দুয়ারে সরকার বলতে যারা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদের কাছে পৌঁছানো ও কিছু কাগজের জন্য সমস্যা সেটার জন্যই দুয়ারে দূত পাঠিয়েছেন। আমাদের এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক মাননীয় গুলশান মল্লিক আমাদের সাথে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যারা পাননি তাদের ব্যাবস্থা করে দেবেন।
No comments:
Post a Comment