ডেস্ক রিপোর্ট, উলুবেড়িয়া, আমার কলম :- ১৬ ই জানুয়ারী, সোমবার থেকে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সূচনা হল 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচির। এদিন রঘুদেবপুর অঞ্চলে অবস্থিত শ্রী শ্রী যোগমায়া সেবাশ্রম মন্দিরে পুজো দিয়ে রঘুদেবপুর অঞ্চলে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচির সূচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।
রঘুদেবপুর অঞ্চলে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক বিদেশ রঞ্জন বসু। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ ইনামুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া পৌরসভার জল দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ আকবর। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্র তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী।
উপস্থিত ছিলেন রঘুদেবপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পল্লব গাঙ্গুলী। উপস্থিত ছিলেন রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ জুবের আলম। উপস্থিত ছিলেন রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তরুণ ঘোষাল, সঞ্জয় মাইতি, পলাশ দাস সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা।
এদিন রঘুদেবপুরের শ্রী শ্রী যোগমায়া সেবাশ্রম মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর দিদির দূত হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা পৌঁছান স্থানীয় ICDS সেন্টারে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা জন রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে। তারপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। শোনেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে জানেন বিভন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তারা পাচ্ছেন কি না। সারাদিন ধরে বাড়ি বাড়ি যাবার পরে বিকাল ৪ টার সময় পাঁচলার ঘোষালচক মোড়ে একটি পথসভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বেরা।
এদিন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক বিদেশ রঞ্জন বসু বলেন, রঘুদেবপুর অঞ্চলের মূল সমস্যা জলের।আমরা একটা সময় দিয়েছি তার মধ্যেই কাজ শেষ করবো। দিদির দেওয়া প্রকল্প গুলি ঠিক ভাবে পাচ্ছেন কিনা, এখানে কিছু সমস্যা হয়েছে, কিছু জন আছেন বার্ধক্য ভাতা পাননি সেটা টেকনিকাল ফলটের জন্য, আমরা সেটা দেখবো। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানলাম ওনারা দিদির সমস্ত প্রকল্প গুলির সুবিধা পাচ্ছেন। আর একটাই বার্তা থাকবে রঘুদেবপুর পঞ্চায়েত এর সমস্ত গ্রামবাসীর কাছে, যেভাবে দিদির পাশে সবাই আছেন, আগামী দিনেও সেই ভাবেই থাকবেন।
এদিন উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস বলেন, দিদির সুরক্ষা কবচের সাথে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনো যোগ নেই। আমরা এই পঞ্চায়েত গণত্রান্তিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবো। দিদির দেওয়া ৬৪ টি প্রকল্প মানুষের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন।
মানুষ তার ফল পাচ্ছেন।
এদিন উলুবেড়িয়া পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ ইনামুর রহমান বলেন, নতুন তৃণমূল বলতে, অভিষেক ব্যানার্জী বলেছেন তরুণ প্রজন্ম-কে আরো সামনের সারিতে নিয়ে আসা। আমরা মানুষের পাশে আছি ও থাকি, তাই মানুষ আমাদের পাশে থাকবে।
এদিন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া পৌরসভার জল দপ্তরের চেয়ারম্যান শেখ আকবর বলেন, প্রথমে আমরা যোগমায়া মন্দিরে পুজো দিলাম। এরপর ICDS সেন্টারে যাবো। তারপর পঞ্চায়েত অফিস হয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবো। দিদির দেওয়া ১৫ টি প্রকল্প মানুষ পাচ্ছেন কিনা যেমন বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বাংলার আবাস যোজনা, নিজ গৃহ নিজ বাড়ি, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহ এই প্রকল্প গুলি ঠিক ভাবে মানুষ পাচ্ছেন কিনা। যদি না পেয়ে থাকেন আমরা কাগজ দিয়ে যাবো। আমরা খালিশানী অঞ্চলে গিয়েছিলাম সেখানে এক দুইজন বলেছে আমরা পায়নি, তবে ৯৮% মানুষ প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন।
রঘুদেবপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পল্লব গাঙ্গুলী বলেন, আমাদের আজ সারাদিন ব্যাপী কর্মসূচি। মূলতো আজকে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবো দিদির দেওয়া প্রকল্প গুলি তারা পাচ্ছেন কিনা। আমরা একক ভাবে বর্তমানে পঞ্চায়েত চালিয়েছি। বিগত দিনে যারা ছিলেন তাদের নাম আমি উল্লেখ করছি না। তাদের আমল থেকেই যে সমস্যা ছিলো আমরা অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছি। প্রধান যে সমস্যা সেটি হলো জল-নিকাশি ব্যবস্থা, বিগত দিনে যারা কারখানা তৈরির (noc) দিয়েছিলো। সেই কারণ অনেক কারখানা হওয়ার ফলে কারখানার বর্জ্য পদার্থ গুলি যত্র তত্র ফেলছে। জলের সমস্যায় এলাকার মানুষ জর্জরিত, সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ জুবের আলম বলেন, দুয়ারে দূত যে কর্মসূচি তাতে এলাকার মানুষ খুব খুশি। সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আমাদের বিধায়ক এসেছেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখলাম আমাদের অঞ্চলের মানুষ খুশি। দুই একজন আছেন যারা দিদির প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের আগামীদিনে সমস্যা মিটে যাবে।


No comments:
Post a Comment