Breaking

Sunday, January 15, 2023

A.B.T.A. বাউড়িয়া আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতি শিবির ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট, হাওড়া, আমার কলম :- আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক ২০২৩ এর পরীক্ষা। আর যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক ২০২৩ এর পরীক্ষায় বসতে চলেছে তাদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় এক প্রস্তুতি শিবির। ১৫ ই জানুয়ারী, রবিবার, গ্রামীণ হাওড়ার বাউড়িয়ার, বুড়িখালী কে. এম. ইনস্টিটিউশনে এই মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতি শিবির ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়, তার জন্যই একটি প্রস্তুতি শিবির করলেন A.B.T.A. বাউড়িয়া আঞ্চলিক শাখা। ভালো নম্বর পেয়ে কিভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব, তার জন্যই কি কি করনীয় সেইসব বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত শিক্ষকগণ। 

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে চাই সময় ধরে প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর লেখার নিয়মিত অনুশীলন। কত নম্বরের প্রশ্ন কতটা সময় হাতে রেখে কেমন ভাবে এবং ঠিক কি কি উত্তর লেখা দরকার। এসবের সঙ্গে যদি জানা যায় যে পরীক্ষকরা যখন তোমাদের উত্তরপত্র গুলি মূল্যায়ন করেন তারা ঠিক কেমন লেখা চান বা ঠিক কি ধরনের উত্তর লিখলে তারা বেশি নম্বর দেন তাহলে তোমরা সহজেই তোমাদের উত্তর লেখার ভুলভ্রান্তি গুলো নিজেরাই চিহ্নিত করতে পারবে এবং তারপর সেগুলি সংশোধনের মাধ্যমে মাধ্যমিকের প্রতিটি বিষয়ে অনায়াসে ভালো নম্বর পেতে সক্ষম হবে। উক্ত শিবিরে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিকের প্রতিটি বিষয়ের উপর সুনিশ্চিত পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় উপদেশ দেন উপস্থিত শিক্ষকগণ। বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষকগণ, বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেকটি বিষয়ে ক্লাস নেন। 

বাসুদেবপুর ( K N P C ) স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিব শঙ্কর দাস মহাশয় বলেন, অতি মহামারী রোগের কারণে দুই বছর যাবৎ সেই ভাবে পঠন-পাঠন সম্ভব হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের তাই বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করার জন্য গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই প্রশিক্ষন শিবিরের আয়োজন করেছে ( এ বি টি এ ) বাউড়িয়া শাখা। 

বুড়িখালী স্কুলের ( B K M I ) শিক্ষিকা মৌমিতা দে বলেন, আমাদের যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খাতা দেখার অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতায় ছাত্র-ছাত্রীরা কি রকম লিখলে ঠিক ভাবে সঠিক নাম্বার তুলতে পারবে, সেই বিষয়ে অনেক সময় ক্লাসের মধ্যে বলা সম্ভব হয়না। খুব ভালো লাগছে এই রকম প্রস্তুতি শিবির করে। 

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কেশব চন্দ্র কোলে বলেন, শহরে শিক হয়ে যাচ্ছে স্কুল গুলি। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কমছে। বেসরকারি স্কুলে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে বেশি অর্থের বিনিময়ে। আবার গ্রামের চিত্রটা অন্যরকম। এখানে ছাত্রের সংখ্যা বেশি শিক্ষকের সংখ্যা কম। ইতিমধ্যে হাওড়া জেলায় ৩৪ টি স্কুল শিক হয়ে গেছে, শিক্ষকের অভাবে। অনলাইনে লেখাপড়া শেখাটা ছাত্রছাত্রীদের একটা বিপদের কারণ। পুঁজিবাদী শক্তি এই ব্যবস্থাটাকে কাজে লাগাতে চাইছে। তাই আমরা এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের আরো লেখাপড়ায় উন্নতি ঘটিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। অনলাইনে লেখাপড়া শিখে ছাত্রছাত্রীরা পঙ্গু হয়ে যাবে। তাই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন।

এই প্রস্তুতি শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অতনু ব্যানার্জী, স্বপন মন্ডল সহ একাধিক শিক্ষকগণ।

No comments:

Post a Comment

Adbox