Thursday, January 19, 2023

''দিদির সুরক্ষা কবচ'' এর সূচনা হল উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রে, রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় এর নেতৃত্বে

নিজস্ব প্রতিনিধি, উলুবেড়িয়া, হাওড়া :- ১৮ ই জানুয়ারী, বুধবার, থেকে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সূচনা হল ''দিদির সুরক্ষা কবচ'' কর্মসূচির। এদিন চণ্ডীপুর অঞ্চলে অবস্থিত শ্রীকৃষ্ণপুর শিবতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে চণ্ডীপুর অঞ্চলে "দিদির সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। 

এদিন চণ্ডীপুর অঞ্চলে "দিদির সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায়।  

উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল কর। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্যা ঋতুপর্ণা কর। উপস্থিত ছিলেন এই অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। উপস্থিত ছিলেন চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল হক মোল্লা, উপ-প্রধান সহ পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা এবং অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। 

এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর দিদির দূত হিসেবে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। শোনেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তারা পাচ্ছেন কি না। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা যান চণ্ডীপুর অঞ্চলের বাগপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে। বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের হাতে চকলেট তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী। 

এরপর দলীয় কর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। তারপর "অঞ্চলে একদিনে নেতৃবৃন্দের কর্মসূচি" অঙ্গ হিসাবে চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের পরিদর্শন করেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। কথা বলেন এই পঞ্চায়েতের সদস্যদের সাথে। এরপর চণ্ডীপুর অঞ্চলে একটি জনসভাও করেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা রাজ্যের মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুবই আনন্দিত ও আপ্লুত। 

এদিন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় জনসভা থেকে বলেন, কিছু স্থানীয় সমস্যাগুলির কারণে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের জীবনে যে প্রভাব পড়ছে, সেই বিষয়গুলো আমাদের দল আরো দ্রুত সমাধান করতে চায়। আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষের কাছে সরকারী পরিষেবা গুলো স্বচ্ছভাবে পৌঁছোচ্ছে কিনা তা দেখে প্রশাসনিক ক্ষেত্রকে আরো উন্নত করা। সাড়ে তিন লক্ষ দিদির দূত মানুষের কাছে পৌঁছে দিদির উন্নয়নের বার্তা দেবেন। দেশ স্বাধীনতা হবার পরে কংগ্রেসের সরকার তারপর বাম জমানার ৩৪ বছরে রাজ্যের ও এই কেন্দ্রের অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার কে প্রতিষ্ঠা করেছেন তার সাথে সাথে আমাকে এই কেন্দ্র থেকে একবার নয় তিনবার নির্বাচিত করে আপনাদের কাজ করার সুযোগ করে দেবার জন্য আমি নতমস্তকে প্রণাম, সেলাম জানাচ্ছি। অনেক এলাকা আছে যেখান মানুষ বঞ্চিত ছিলো। অনেক এলাকা আছে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। আমি এখান থেকে ঘোষণা করছি এই এলাকা নয় পশ্চিমবঙ্গ এমন কোনো পরিবার নেই যে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, প্রতিটি গ্রামে ও বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এই এলাকায় একটাও ঢালাই রাস্তা ও পাকা রাস্তা ছিলো না। আমরা চন্ডিপুর পঞ্চায়েতে ৮০% পাকা রাস্তা করে দিয়েছি। এই এলাকায় জলের সমস্যা ছিলো, একটা ট্যাংক বানিয়েছিলো বাম আমলে সেটা চালু হবার আগেই সেটা ফুটো হয়ে গেছিলো। আমি এমএলএ হবার পর সেটাকে সারিয়ে জলের ব্যাবস্থা করেছি। তার সাথে ঘোষনা করছি এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হুগলী নদী থেকে জল তুলে বাড়িতে বাড়িতে বিনা খরচে পৌঁছে দেবো।


No comments:

Post a Comment

Adbox