প্রদীপ কুমার সাঁতরা : আজ (৫ নভেম্বর) ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির জন্মদিন। বিরাট কঠিন পরিস্থিতিতে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সচিনের পর ভারতীয় ক্রিকেট এমন একজনকে খুঁজছিল যে ভারতীয় ক্রিকেট এর ব্যাটিং এর দায়িত্ব নেবে। না ভারত হয়তো সচিনকে পায়নি কিন্তু ভারত এমন একজনকে পেয়েছে যে ভারতীয় ক্রিকেট এর হৃদয় হয়ে উঠেছে। নিজের ব্যাটিং এর দক্ষতায় অর্জন করেছেন একাধিক রেকর্ড ও পুরস্কার। অনূর্ধ্ব - ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন থেকে ' কিং কোহলি ' হয়ে ওঠার রাস্তাটা সহজ ছিল না। ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামা ২০০৮ সালে। সেই থেকেই কোহলি লিখে চলেছেন একাধিক রূপকথার কাহিনী। আজ বিরাট ৩৩ বছরে পা দিলেন।
বিরাট কোহলির এই দীর্ঘ পথ চলায় তিনি কি কি অর্জন করেছেন। বিরাট প্রথম ক্রিকেটার যিনি নিজের ডেবিউ বিশ্বকাপেই শতরান করেন। ' আইসিসি ওডিআই প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার ' নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ২৩ বছর বয়সেই। বিরাট কোহলি একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি দ্রুততম ৮০০০, ৯০০০, ১০০০০, ১১০০০, ১২০০০ হাজার রানের গণ্ডি টপকেছেন। আইপিএল এর একটা মরশুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই (৯৭৩ রান)। বিরাট একমাত্র এবং প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি একটি ওডিআই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৫৫৮ রান)। আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, আইসিসি টেস্ট প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, আইসিসি ওডিআই প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার -- এই তিনটি সম্মান বিরাট কোহলি একই বছরে অর্জন করেন। নন ওপেনার ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিই সর্বাধিক সংখ্যক ১৫০+ রানের গণ্ডি পার করেছেন (১৫৪*, ১৫৭*, ১৬০*, ১৮৩ রান)। ক্রিকেট এর বাইবেল বলা হয়ে থাকে ' উইজডেন রেকর্ড বুক ' কে। বিরাট কোহলি পর পর তিনবার সেখানে নিজের নাম তুলেছেন। বিরাট এর সাফল্যের পেছনে ছিল তার পিতার বড়ো ভূমিকা। বিরাট তার বাবাকে হারিয়েছিলেন ১৮ ডিসেম্বর। আর তাই বাবার উদ্দেশ্যে তিনি তার জার্সিতে ১৮ সংখ্যা লেখেন। বাবার মৃত্যুর পর দিনই করেছেন অসাধারণ ব্যাটিং। ক্রিকেটের প্রতি তার এই কমিটমেন্ট এর জন্যই আজ তিনি ক্রিকেট বিশ্বে প্রসারিত বিরাট রূপে। বিরাট তার ব্যাটিং দিয়ে লিখে চলুক আরো অনেক রূপকথার গল্প সেই আসায় থাকবে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকরা।


No comments:
Post a Comment