কৌশিকী অমাবস্যার কাহিনী সম্পর্কে জানুন
নিজস্ব প্রতিনিধি :- আজ হলো কৌশিকী অমাবস্যা। এই কৌশিকী অমাবস্যার দিন সাধক বামাক্ষ্যাপা তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন বলে কথিত আছে। কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠের মহাশ্মশানে শ্বেত শিমুল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। এই দিনে তারা মায়ের পূজা দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পূণ্য লাভ হয় ও কুম্ভ স্নান এর সমান ফল মেলে। এই বিশ্বাসের জন্যই আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন।
কৌশিকী অমাবস্যার পৌরাণিক কাহিনী :-- শাস্ত্র মতে বলা হয়ে থাকে যে, পুরাকালে একবার কঠিন সাধনা শক্তিতে ব্রম্ভা কে তুষ্ট করেন অসুর ও নিশুম্ভ শুম্ভ ও নিশুম্ভ। ব্রম্ভা তুষ্ট হয়ে তাদের বর প্রদান করেন। তিনি বলেন, জগতের কোনো পুরুষই তাদের বধ করতে পারবে না। কোনো অ - যোনি থেকে বিমূর্ত হওয়া নারী শক্তির হাতেই শেষ হবে অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভ। যে নারী মাতৃ গর্ভ থেকে জন্ম নেয় নি, একমাত্র তিনিই বধ করতে পারবেন এই দুই অসুরকে। এদিকে, সতী রূপে পার্বতীর আত্মাহুতির পর তিনি কালো বর্ণে দেবী কালিকা রূপ ধারণ করেন। অন্যদিকে অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভের সংহারে ত্রস্ত তখন ধরণী। এই রকম পরিস্থিতিতে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব পার্বতীকে বলেন এই অসুরদের হত্যা করার জন্য। তখনই দেবী কালিকা তার শক্তি নিয়ে শুম্ভ নিশুম্ভ কে বধ করতে উদ্যত হন। সেই সময় মানস সরোবরে দেহের সমস্ত কালো ধুয়ে দেবী কৃষ্ণবর্ণ নিয়ে কৌশিকী রূপে অবতীর্ণ হন। আর শুম্ভ নিশুম্ভ কে বিনাশ করেন।
No comments:
Post a Comment