Breaking

Thursday, November 2, 2023

চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা :- চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগটা করছেন রোগীর আত্মীয়রা। চিকিৎসা পরিষেবা, একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে অভিযোগ বিরোধীদেরও। একটি রোগীকে একাধিক ডাক্তার দেখছেন আবার একাধিক ডাক্তারের পরামর্শ রোগীর আত্মীয়কে সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না কথায় কথায় চিকিৎসা না করেই রোগীকে রেফার করে দিচ্ছে অন্যত্র। রোগীর পরিজনদের সাথে চিকিৎসকরা ঠিকমতো ব্যবহার করছে না কথাও বলছে না। সঠিকভাবে রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও রোগীর আত্মীয়রা জানতে পারছে না এমনটাই ভুরি ভুরি অভিযোগ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।

রবিবার সন্ধ্যায় ভুল ইনজেকশন দাওয়াই এক যুবকের মৃত্যু ঘটে অভিযোগ সেই যুবকের পরিবারের সদস্যদের উত্তেজিত ছড়ায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইংলিশ বাজার থানার পুলিশ। তার একদিনের মাথায় আবারো মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। ঘটনাস্থলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম টুলি খাতুন। একবছর আগে পাকুয়া হাট এলাকার রাজিকুল সেখের সাথে বিয়ে হয় তার। সোমবার প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে মালদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হয়। আজ পুত্র সন্তান হয়। এরপর থেকে টুলি খাতুনের শাররীক অবস্থার অবনতি হলে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের জানান রক্ত লাগবে। সেই মতো চার প্যাকেট রক্তের জোগাড় করে দেয়। এরপর তাদের রোগী মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ তাদের কিছু বলেনি। বিকেল পাঁচটা নাগাদ তারা জানতে পারেন তাদের রোগী মারা গেছে। এরপরই আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায়। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতা গৃহবধূর পরিবারবর্গ। যদি এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

সোমবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে পুকুরিয়া থানার বহিরগাছি গ্রামের জেসমিন খাতুন ২৮ বছরের এক মহিলা ভর্তি হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসক জাসমিন খাতুনের পরীক্ষা করায় এবং তার কিডনিতে পাথর দেখা যায়। চিকিৎসকরা আপাতত সে সুস্থ রয়েছে বলে জানায়। এদিকে বুধবার সকালে তার পরিবারের আত্মীয়রা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে জানতে পারে, জাসমিন খাতুনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে তার অবস্থা নাকি শংকট জনক। 

জাসমিন খাতুনের পরিবারের সদস্য ইজাত আহমেদ জানান মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা প্রথমে দেখেন এবং তারপর রিপোর্ট করানো হয়। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা বলেন কিডনি স্টোন ও ফ্যাটি লিভারের কথা বলে। প্রথমে চিকিৎসকরা আপাতত ভালো আছি বলে এবং তারপর রাত্রে বলা হয় আপনার রোগী পরিস্থিতি সংকট জনক। কলকাতায় রেফারের কথা বলা হয়। কিন্তু যেখানে রেফার করছে সেখানে কাগজে কিন্তু রেফারের কথা উল্লেখ করছে না। একেক সময় একেক জন ডাক্তারের কথা।
 
চাচোল এর বাসিন্দা মনিরুল রহমান তার ২৬ দিনের শিশুকে নিয়ে রবিবার মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার হাতে ও কোমরে সমস্যা হয়। ভর্তি করার পর থেকে কোন রকম ভাবেই চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা ঠিক মতন করছে না। চিকিৎসার সেভাবে পরিকাঠামো নেই বলে জানানো হচ্ছে। চার দিন ধরে কোন চিকিৎসা নেই শিশুটির। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রেফারও করছে না বলে অভিযোগ। অভিযোগ চিকিৎসকরা রীতিমতো জীবন নিয়ে খেলা করছে রোগীদের পরিষেও ঠিক মতন পাওয়া যাচ্ছে না।

মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানান, রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে না এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে না ডাক্তাররা ঠিকমতোই চিকিৎসা করছে কোন অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। একেকটা ইউনিটে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক থাকে সেক্ষেত্রে সেই ইউনিটে একজন সিনিয়র ডাক্তার থাকে তবে সব ক্ষেত্রেই সমস্ত ডাক্তারের চিকিৎসা করে। তবে রবিবারের যে ভুল ইনজেকশন দিয়ে যুবকের যে মৃত্যু ঘটেছে যে অভিযোগটি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং পাশাপাশি কমেটি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রসূতি মৃত্যুর বিষয়ক তদন্ত করে দেখা হবে। 

No comments:

Post a Comment

Adbox