সারা বছরই মাটির গ্লাস সহ আরও বেশ কিছু মাটির সামগ্রী বিক্রি হয় তবে কালীপুজোর আগে থেকেই প্রদীপ, ঘট এর বিক্রি। শিল্পী গৌড় চন্দ্র পাল জানান, পূর্বপুরুষ ধরে এই ব্যবসা আমরা করে আসছি। তবে আগামী প্রজন্ম এই ব্যবসা আর করবে না। কারণ যে হারে পরিশ্রম তাতে সেভাবে মজুরি পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি মাটিও এখন ঠিকভাবে পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়া যায় চড়া দামে মাটি কিনতে হয়।
শিল্পী অলি পাল জানান, আমরা কোনরকম ভাবে সরকারের কাছ থেকে সরকারি কোন ভাতা পাই না। শুধুমাত্র মাসে লক্ষীর ভান্ডার সরকার দেয়। তবে এই লক্ষীর ভান্ডারে যা টাকা পায় সে টাকা দিয়ে কি সংসার কি করে চলবে। সরকারি সাহায্য পেলে এই ব্যবসা আরো বেশি ভালো করে করা যাবে।
তবে এখন সামনে দীপাবলি কালীপুজো সেক্ষেত্রে অন্যান্য বাড়ির থেকেও এবারে চাহিদা মাটির প্রদীপের অনেকটাই বেশি। বাজারে যতই ইলেকট্রিকের প্রদীপ টুনি বালব আসুক না কেন মাটির প্রদীপের চাহিদা আগেও যেমন ছিল বর্তমানে তেমন রয়েছে এতে প্রভাব পড়েনি। মালদা জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলা গুলিতেও মালদার প্রদীপ যায়। এর বাইরেও রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্য গুলিতেও মালদার প্রদীপ যায়।
No comments:
Post a Comment