পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৮ বছর আগে পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট স্টেশনের ঝন্টু চন্দ্র শীলের মেয়ের সাথে ভালোবাসা করে বিবাহ করে মিলন দাস। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী মিলন দাস অবৈধ সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে পড়ে এক মহিলার সাথে। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগে রয়েছে। গতকাল রাতেও এই নিয়ে পুনরায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে।
এরপর আজ (রবিবার) সকালে গৃহবধূ ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে বদুর বাবা ঝন্টু চন্দ্রশীল সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে যায়। সেখান থেকে গৃহবধূকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে আসে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এইদিকে মৃত গৃহবধূর বাবা সুশীল চন্দ্র শীল জানান, মেয়ের বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী অন্য মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যে অশান্তি হয়। গতকাল রাতে ওই ধরনের অশান্তি হয়েছে তার মেয়ের সাথে। আর তার জেরেই আমার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়েছে।
অন্য দিকে মৃত গৃহবধুর স্বামী মিলন দাস জানান, আমি একজন রান্নার ঠাকুর বিভিন্ন মহিলার সাথে আমাকে রান্নার কাজে যেতে হয়। সেই কারনে আমার স্ত্রী এবং আমার শ্বশুর বাড়ির লোক মিথ্যে সন্দেহ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যে। আমার কোন মহিলার সাথে সম্পর্ক ছিল না। আমার স্ত্রী অযথাই আমাকে সন্দেহ করতো। আর তার জেরেই স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতি হয়েছে। এইদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ।


No comments:
Post a Comment