দেবাঙ্গনা জানায়, তার আশা ছিল সে প্রথম দশে থাকবে। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়েছে। যদিও অতি মারীর কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারেনি এবারের পরীক্ষার্থীরা। এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সে আরো জানায়, আগামীতে তার ইচ্ছা শিক্ষকতা করার। তার এই সাফল্যের পেছনে তার বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাশাপাশি গৃহ শিক্ষকরা। তার মোট সাতজন গৃহ শিক্ষক ছিল। দিনে ৭-৮ ঘন্টা পড়ত সে। আগামীতে সে ইংরেজি নিয়ে পড়তে চায়।
মালদা বার্লো গার্লস হাইস্কুলের অপর এক ছাত্রী টিনা পুরকায়স্থ ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে। তার এই সাফল্যে পরিবার পরিজন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সহ খুশি সকলেই।
টিনা জানায়, সে আশা করেনি প্রথম দশ জনের মধ্যে আসতে পারবে। খবরটি শুনে সে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। আগামীতে বাংলা সাহিত্যে নিয়ে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করতে চায়। পড়াশোনা তার কোন বাধা ধরা সময় ছিল না। পড়াশোনার বাইরে সে ভায়োলিন বাজায়। পাশাপাশি গল্প লেখালেখিও করে। তার কিছু গল্প জেলার সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বলে সে জানায়। আগামী দিনে তারও অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছে, পাশাপাশি গবেষণা করার ও খুবই ইচ্ছে। সে আরো জানায়, তার বাবাও অধ্যাপক। বর্তমানে আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত আছেন।
মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সায়ন্তন সরকার ৪৮৭ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় দশম স্থান লাভ করেছে। সে জানায়, সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিতে ছিল, সেই রকম ভাবে উচ্চমাধ্যমিকে তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়নি, কিন্তু সাফল্য এসে যাওয়ায় সে খুবই খুশি। তার এই সাফল্যের পেছনে তার মায়ের অবদান খুবই বেশি। পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন স্কুলের শিক্ষকদেরও অসামান্য অবদান রয়েছে বলে জানায়। আগামীতে উচ্চশিক্ষার জন্য আই আই টি তে ভর্তি হতে চায়।
পড়াশোনা ছাড়াও ক্রিকেট খেলা এবং গান শোনাতে খুব তার আগ্রহ রয়েছে। সে আরো জানায়, পড়াশোনায় তার বাধা ধরা কোন সময় ছিল না কারণ সে অনলাইনে জয়েন্টের কোচিং করত। পাশাপাশি সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিত। সারা ভারত জয়েন্ট মেইনে সেই ইতিমধ্যেই ২০০০ এর একটু বেশি র্যাঙ্ক লাভ করেছে। আগামী ৪ ই জুন আরও একটি পরীক্ষা বাকি আছে বলে সে জানায়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১৪ মার্চ থেকে। শেষ হয়েছিল ২৭ মার্চ। অতিমারী পর্ব কাটিয়ে পরীক্ষায় বসেছিল পরীক্ষার্থীরা। এই বছর ৮,২৪,৮৯১ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। তার মধ্যে ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন এই বছর পাশ করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৯১.৮৬ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৭.২৬ শতাংশ।


No comments:
Post a Comment