নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া, আমার কলম :- গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জোয়ারগোড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হলো "দিদির সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচি। ৭ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, "দিদির সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে "অঞ্চলে একদিনে নেতৃবৃন্দের কর্মসূচি"র শুভ সূচনা হল উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের জোয়ারগোড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
আর এদিনের এই কর্মসূচির সূচনায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শেখ ইলিয়াস। উপস্থিত ছিলেন জোয়ারগোড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানিক চন্দ্র মাকাল। উপস্থিত ছিলেন জোয়ারগোড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিবেকানন্দ সিংহ সহ এই পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা এবং একাধিক নেতৃত্বরা।
মঙ্গলবার সকালে নয়াচক কালী মন্দিরে পুজো দানের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ও বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। পরে দিদির দূত হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা পরিদর্শন করেন 'জোয়ারগোড়ী ইউনিয়ন হাই স্কুল'। তারা কথা বলেন সেখানকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে। পরে তৃণমূলের নেতৃত্বরা সেখান থেকে জগরামপুর গ্রামে গিয়ে কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। শোনেন তাদের অভাব অভিযোগের কথাও।
পরে তারা পুজো দেন স্থানীয় চক্রবর্তী বাড়ির শীতলা মন্দিরে। তারপরে মন্ত্রী ও বিধায়ক দলীয় কর্মীদের সাথে মধ্যন্য ভোজ করেন। তারপর তৃণমূলের নেতৃত্বরা জোয়ারগোড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে পরিদর্শন করেন এবং সেখানে এক বৈঠক করেন সেখানকার কর্মচারী ও আধিকারিকদের সাথে। এরপর এই অঞ্চলের মানুষের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে জনসংযোগ করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ও বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ককে কাছে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুবই খুশি।
এদিন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, আমি গ্রামে ঘুরলাম, মানুষ সন্তুষ্ট। দুই একটা ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল। আমরা অভিযোগ শোনার জন্য এসেছি। আমাদের সাথে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আছেন, পঞ্চায়েত প্রধান আছেন। আমরা তাদেরকে বলেছি, অবিলম্বে এই সমস্যা গুলোকে মিটিয়ে দলমত নির্বিশেষে। কোনো রং দেখার দরকার নেই। যার দরকার তাকেই দেওয়া হবে। এটাই আমরা ব্যবস্থা করেছি। আমরা যাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম লক্ষীর ভাণ্ডার সকলেই প্রায় পেয়েছেন। বার্ধক্য ভাতা সকলেই প্রায় পেয়েছেন। দুই একটা ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে পাকা বাড়ি আছে তবুও তারা বাড়ি চাইছেন। ইটের বাড়ি হলে কেন্দ্রীয় সরকার এমনিই সেটা বাতিল করে দিচ্ছে। ইনকোয়ারি হলেই সেগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যেগুলি মাটির বাড়ি আছে সেগুলোই আমরা বলেছি করে দেব। একটা অভিযোগ এসেছে ঘর দেওয়ার নাম করে কর্মীরা টাকা নিয়েছে। আমরা বলেছি নামটা বলুন, নামটা যদি আমরা ইনকোয়ারি করে জানতে পারি তাকে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হবে ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিন উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডা: নির্মল মাজি বলেন, আমরা মানুষের কাছে গেছি, দুই থেকে তিন শতাংশ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেনো দিয়েছেন তারা ৬৮ টি প্রকল্পের মধ্যে একটি দুটি পায়নি বলে। ৬৭ টি প্রকল্প পেয়েছেন, ১ টি পায়নি বলে। অনেকেই বলেছেন তাদের ইটের বাড়ি, তাও চাইছেন বাড়ি। আমরা বলেছি ইটেরবাড়ি হলে আমরা দিতে পারবো না। এটা নিয়ম নেই। কেন্দ্রীয় সরকারি বাদ দিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া এই অঞ্চলে ভারতীয় জনতা পার্টি নিয়ন্ত্রিত এখানে পঞ্চায়েত ছিল। আমরা এসেছি এখানে এক বছরেরও কম, ছয় মাস। তার মধ্যেই আমরা রাস্তাঘাট চকচকে ঝকঝকে রাস্তা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হয়েছে। অনেকেই বাংলা আবাস পেয়েছে। একটা ক্ষেত্রে আমরা অভিযোগ পেয়েছি এটা, সেই অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের জন্য আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, তদন্তে প্রমাণিত হলে তাকে আমরা দল থেকে বহিঃস্কৃত করবো।


No comments:
Post a Comment