নিজস্ব প্রতিনিধি, উলুবেড়িয়া, আমার কলম :- অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে বাউড়িয়া বাসীর। অবশেষে শুরু হলো বাউড়িয়া রেল স্টেশনের উড়ালপুল নির্মাণের প্রক্রিয়া। বাগনান এবং উলুবেড়িয়ার পর এবার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে বাউড়িয়া বাসীর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রামীণ হাওড়ার বাউড়িয়া রেল স্টেশন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রেল স্টেশন। এই বাউড়িয়া রেল স্টেশনের একদিকে হুগলী নদী আর অন্যদিকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্তপূর্ণ একটি জাতীয় সড়ক রয়েছে।
এছাড়াও বাউড়িয়ায় রয়েছে বেশ কয়েকটি কলকারখানা। এই বাউড়িয়া রেল স্টেশনের অদূরেই এই লেভেল ক্রসিং থাকার ফলে রোজই সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। এই লেভেল ক্রসিং এর গেট দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আর এলাকার বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা ভেবেই প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ বাউড়িয়ায় একটি উড়ালপুল নির্মাণ এর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এই উড়ালপুল নির্মাণে উদ্যোগী হন সাংসদ সাজদা আহমেদ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে বাউড়িয়া রেল স্টেশনের উড়ালপুল নির্মাণ নিয়ে। উলুবেড়িয়া পৌরসভার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত সোমবারই ৪৩ জন জমি দাতাকে ডাকা হয়েছিল উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ৪৩ জন জমি মালিকরা জমি দিতে রাজি হয়েছেন বাউড়িয়া রেল স্টেশনে রেল গেটের কাছে উড়ালপুল তৈরির জন্য।
সূত্রের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উক্ত বৈঠকে প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস। আর এই বৈঠকের পরই জমি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জমি দাতাদের কাছ থেকে।
সূত্র মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে বাউড়িয়া রেল স্টেশনের রেল গেটের কাছে উড়ালপুলটি। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হবে এই উড়ালপুল। আর এই উড়ালপুলটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই জমি জরিপের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে সূত্র মারফত এও জানা গিয়েছে, বাউড়িয়ায় উড়ালপুল নির্মাণের পর রাজ্য সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য হবে সাঁকরাইল উড়ালপুল নির্মাণ করা।
No comments:
Post a Comment