Breaking

Thursday, July 21, 2022

২১শের মঞ্চে যুব সমাজের জন্য বাংলায় কর্মসংস্থানের খতিয়ান সামনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডেস্ক রিপোর্ট, আমার কলম :- একুশেই এরাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে করোনার কারণে সেবার ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল ভার্চুয়ালি। ২১-এ বিরাট জয়ের পর, ধর্মতলায় তৃণমূলের প্রথম একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ ছিল এটাই। আর তৃণমূলের শহীদ দিবস ঘিরে জনস্রোতে ভাসল শহর কলকাতা। 

নেত্রী মঞ্চে উঠতেই সেই ভিড় গর্জে উঠলো। যা দেখে আপ্লুত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই সমর্থকের অধিকাংশই যে যুব সমাজ সেটা ভালই জানেন নেত্রী। তাই একুশের মঞ্চে যুব সমাজের জন্য বাংলায় কর্মসংস্থানের খতিয়ান সামনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এ রাজ্যে দেউচা পাঁচামি নিয়ে বিতর্ক চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রকল্প হলে রাজ্যে ১ লক্ষ ছেলে-মেয়ের চাকরি হবে, ১০০ বছর বাংলায় বিদ্যুতের অভাব হবে না, উল্টে বাংলায় অন্যত্র বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। 

এরাজ্যে শিল্প ও কর্মসংস্থান নিয়ে তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, - দেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি — বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। আগামী ৫০ বছর রাজ্যের কয়লা নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না। 

দেউচা পাঁচামির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এক লাখ ছেলে মেয়ে ওখানে কাজ পাবে। রাজ্যে সিলিকন ভ্যালি তৈরি হচ্ছে। ৫০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। বানতলায় আড়াই লাখ কর্মী ইতিমধ্যে কাজ কাজ করছেন। রাজ্যে দেড় লাখ MSME কর্মী চাকরি করছেন।

নেত্রীর কথায়, ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে চাই, কোর্টে কেস চলছে বলে পারছি না। চেনা ভঙ্গিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা চাই চাকরি হোক আর বিজেপি চায় চাকরি যাক। ভারতে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, কিন্তু বাংলায় কমেছে ৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলছে, কৃষকদের রোজগারে বাংলা প্রথম। আমরা গর্বিত।‘  

কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শাসক শিবির সিপিএমকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী মঞ্চ থেকেই বলেন, ‘সিপিএমের আমলে ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। ছেলেরা পার্টি করতো, আর বউরা টিচারিতে চাকরি পেয়েছিল কী করে?’ 

চলতি বছর করোনার দাপট কম হওয়ার ধর্মতলায় শহীদ দিবস পালন করা হয়। শহীদ দিবসের মঞ্চে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন "আমাকে ইডি সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি ভয় পাই না। যারা ডরপোক তারা ভয় পায়"। 

তিনি অভিযোগ করে বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ১০০ দিনের টাকা না পেলে দিল্লি গিয়ে ঘেরাও করা হবে বলে হুমকি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "ভারতে একটা আদর্শ রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল"।  

বাংলা মাথা উঁচু করে চলে। বাংলা যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখা হবে না। মানুষের বৃষ্টি ২৪-এ বিজেপিকে ভাসাবে বলে আশাবাদী নেত্রী। শুধু তাইই নয়, একুশের মঞ্চ থেকে মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ২৪-এ বিজেপির কারাগার জনগণকে ভাঙতে হবে। ভবিষ্যতে দিল্লির মসনদ কার দখলে যাবে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

No comments:

Post a Comment

Adbox