Breaking

Sunday, February 27, 2022

তৃণমূল নেতা শচীন নাগের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার এক

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, সালানপুর : কয়েকদিন পূর্বেই গভীর রাতে জেমারী হাটতলা এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন ইসিএল কর্মী অসীম নাগের পুত্র এলাকার পরিচিত যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শচীন নাগের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। যার ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা থকে রক্ষা পায় পরিবারের সকলে। তবে কে বা করা এই আগুন লাগিয়ে ছিলো সেই তদন্তে নেমেছিল সালানপুর থানার পুলিশ। তদন্তের পর গতকাল রাতে শেষ পর্যন্ত সদ্য জেল থেকে ছাড় পাওয়া কুটরা নামক এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রেই জানা যায় যে, কুটরার ভালো নাম সুমন দত্ত। কুটরাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এই ঘটনায় তিন জনের নাম বলে যার মধ্যে এক জন রয়েছে হরিশাডি গ্রামের এবং দুইজন জেমারী গ্রামের পরিচিত তৃণমূল কর্মী। 
কুটরা পুলিশকে জানিয়েছে তাদের কথা মতই সে এই কাজ করেছে। যদিও তদন্তের জন্য পুলিশ হরিশাডি গ্রাম থেকে একজনকে আটক করে বলে জানা যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত জেমারীর দুই ব্যাক্তি পলাতক। ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে ওই রাতে শচিন নাগদের বাড়ির নিচে গ্যারেজে থাকা বাইক থেকে পেট্রোল বের করে মদের বোতলে ভরেছিলো তারপর সেই পেট্রোল বাইকে ও বোলেরো গাড়িতে ছিটিয়ে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ছিলো। কিন্তু এত বড় দুষ্কর্ম কেন ঘটানো হল সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে অসীম বাবুর পুত্র শচীনের ঘনিষ্ঠ বেড়েছিল।এলাকায় তিনি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন।বিভিন্ন সামাজিক কাজে মানুষের পাশে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। সম্ভবত এই জনপ্রিয়তা কম করতেই এই পরিকল্পনা করেই শীতের মধ্যরাতে এমন ভয়ানক কান্ড তারা ঘটিয়েছিল।

সেইদিন ঘটনার রাতে তাদের দুটি বাইক এবং অন্যান্য জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।কোনোক্রমে আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায় একটি বোলেরো গাড়ি। সময় মত আগুন লাগানোর এই ঘটনা জানতে পেরে যাওয়ায় সপরিবারে পুড়ে মরার হাত থেকে কোনক্রমে রেহাই পায়। কারণ বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরজাগুলি বাইরে থেকে আটকে দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছিল। ঘটনার পর যুব নেতা মুকুল উপাধ্যায় ও সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং শচীন নাগের বাড়ি আসেন এবং তারা পুলিশকে দাবি জানান দোষিদের ধরার জন্য। সালানপুর থানার পুলিশ ধৃত সুমন দত্ত(কুটরা)কে আজ জেলা আদালতে তোলে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশের হেফাজতে আর্জি জানায়। পুরো ঘটনায় জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

No comments:

Post a Comment

Adbox