আর দেশের অন্যান্য রাজ্যে স্কুল কলেজ চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা ছিল বন্ধ। আর রাজ্যে স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আর অবশেষে রাজ্য সরকারের নিদেশে রাজ্যে গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হয় অষ্টম শ্রেণী থেকে স্কুল কলেজ। কিন্তু সেই সময়েই রাজ্যে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয়ের কথা বলে রাজ্য।
আর সেই মোতাবেক আজ সোমবার রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি হাওড়া জেলাতেও শুরু হলো পাড়ায় শিক্ষালয়। আর তারই অঙ্গ হিসাবে এদিন গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের বেলকুলাই চন্দ্র কুমার অধর চন্দ্র অধর বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে চালু হলো পাড়ায় শিক্ষালয়। এদিন ওই স্কুলের উদ্যোগে ওই এলাকার রঘুদেবপুড়ের তিনটি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় এই পাড়ায় শিক্ষালয়।
এদিন রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলা নেতাজী সংঘের মাঠ, ঘোষালচক মোল্লা পাড়া ঈদগাহ ও ষষ্ঠীতলা নজরুল সংঘের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই শিক্ষালয়। মূলত পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে চালু হয় এই শিক্ষালয়।
আর এই শিক্ষালয় প্রসঙ্গে এই বেলকুলাই হাই স্কুলে সপ্তম ছাত্রী সোহানা শেখ বলে, দীর্ঘ দিন পর স্কুল চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। এতদিন বাড়িতে খেলা ধুলা ও অনলাইনে পড়াশোনা করে কেটেছে। তাই স্কুল খোলায় এখন আমরা খুশি।
অন্যদিকে ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শেখ মেহতাব বলে, দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় তারা খুব খুশি। এতো দিন বাড়িতে বসে তাদের ভালো লাগছিলনা।
আর এই প্রসঙ্গেই এদিন বেলকুলাই সিকেএসি বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পুণম ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো আমাদের স্কুলেও আজ তিন জায়গায় চালু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। যদিও আমাদের স্কুলে বর্তমানে ২৮ টি গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা পড়ে। আমরা কিন্তু সেই ২৮ টি গ্রামে গিয়ে উঠতে পারিনি। কারণ আমাদের স্কুলের বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষিকার সংখ্যা ৪২ জন।
পাশাপাশি তিনি বলেন, এই তিনটি শিক্ষালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির হার কিন্তু আশানারূপ নয়। তার মধ্যেও পঞ্চম শ্রেণির উপস্থিতির হার একটু বেশি। অন্যদিকে তিনি বলেন, অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ জানানো হয়েছে, যে তাদের পক্ষ থেকে অন্য পাড়ায় তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি বলেন।
No comments:
Post a Comment