রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল : পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে চলছে পড়ুয়াদের নিয়ে গাছতলায় পড়াশুনা। এমন চিত্র ধরা পড়ল আসানসোলের হিরাপুরের লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্কুল মাঠে। করোনা কালে সরকারী নির্দেশিকা মেনে বন্ধ রয়েছে স্কুলের পঠনপাঠন।এমতাবস্থায় প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার অভ্যাসে রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে এই ধরনের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র। শুক্রবার হিরাপুরের এই স্কুল মাঠে কোভিড বিধি মেনে স্কুলের বাচ্চাদের পঠনপাঠন করতে লক্ষ করা যায়।
সেখানে এবারের তৃনমূলের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্রকে প্রচারের এক ফাঁকে এসে ঘুরে যেতে দেখা গেল।
এদিন অশোক রুদ্র বলেন, পাহাড়, সুন্দরবন এমনকি সমতলেও আমাদের সংগঠনের শিক্ষকরা কোভিড পরিস্থিতিতে এভাবে কোভিড বিধি মেনে পঠন পাঠন করিয়েছে।
করোনা মহামারীর শুরুর সময় থেকেই যখন স্কুল বন্ধ, তখন থেকেই আমাদের সংগঠনের শিক্ষকরা তাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে স্কুলের ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন নামে বিভিন্ন জায়গায় এই পাঠদান করে গেছি। কোথাও লকডাউন পাঠশালা, কোথাও দুয়ারে শিক্ষক, কোথাও গাছতলায় পাঠশালা, কোথাও বিশ্বে আজ মহামারী, তাই শিক্ষক আজ বাড়ি বাড়ি, কোথাও উদ্যানে পাঠদান, বিভিন্ন নামে এই পঠন পাঠন আমরা চালিয়ে গেছি।
আমাদের সরকারি বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান, তাই এই সময়ে যাতে তাদের পড়াশোনায় কোনো ছেদ না পড়ে তার জন্যই প্রায় ১৭-১৮ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা প্রায় ৮-১০ লক্ষ পড়ুয়াকে জীবনের ঝুকি রেখে পরিয়ে গেছে। আমাদের সংগঠন আসানসোলের বার্নপুর অঞ্চলে, আদিবাসী পড়ুয়া সহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলে মেয়েদের আমরা পড়িয়ে গেছি। এছাড়াও আমরা ইউটিউবের মাধ্যমেও পরিয়ে গেছি। তাই একবার প্রচারের ফাঁকে ঘুরে গেলাম। তবে ৭ তারিখ থেকে চালু হচ্ছে সরকারের পাড়ায় শিক্ষালয়। এবার আর এভাবে পড়ানোর দরকার পড়বে না। শিক্ষকরা ওই কর্মসূচির মাধ্যমেই পড়ুয়াদের পাঠদান করাতে পারবে।
No comments:
Post a Comment