নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : সুন্দরবন নামটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে নানা রহস্য। সুন্দরবন মানেই জলে কুমির ও ডাঙ্গায় বাঘ। কিন্তু এই রহস্যে ঘেরে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ বাদাবনের মধ্যেই রয়েছে ব্যাঘ্র প্রজাতির রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কিন্তু আইলা, বুলবুল, আমফান, ফনি ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল এই বনাঞ্চল। আর তার পরেই জাওয়াদ। আর এই জাওয়াদ আসার আগেই বাঘ সুমারীর কথা ছিল সুন্দরবনে।
জানা গেছে গত ৫ ই ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবনে বাঘ সুমারী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও। ঘূর্ণিঝড় "জাওয়াদের" কারণে তা পিছিয়ে ৭ ডিসেম্বর ধার্য করে রাজ্য বন দপ্তর। আর সেই মতোই সুন্দরবনের বাঘ গণনার কাজে লাগলো বন কর্মীরা।
জানা গেছে এবারে বাঘ গণনার কাজে ব্যবহার করা হবে উন্নয়ন প্রযুক্তি। যেখানে স্বয়ংক্রিয় জিপিআরএস ছাড়াও থাকবে ইনফারেড। পাশাপাশি থাকবে নাইট ভিসান ক্যামেরাও। আর এসব কিছুই নিয়ে করা হবে এবারের বাঘ শুমারি। এদিকে রাজ্য বনদপ্তর সূত্রে খবর শেষ বার বাঘ গণনার হিসাব অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৯৬ টি।
কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে বনদপ্তর। কারণ তাদের অনুমান সাম্প্রতি সুন্দরবন লাগোয়া গ্রাম গুলিতে যেভাবে বাঘের হামলার ঘটনার ঘটেছে। বা পর্যটকেরা যে ভাবে বাঘের দেখা পাচ্ছে তাতে করে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। এদিকে বাঘ সুমারীর কাজে সুন্দরবনের কোর এরিয়ার মধ্যে প্রায় ৭৪৮ টি জায়গায় দুটো করে ক্যামেরা বসানো হবে। যাতে বাঘের সামনে ও পিছনের ছবি তুলতে পারে বনে লাগানো ওই ক্যামেরা। পাশাপাশি রাখা হবে এক বিশেষ সংমিশ্রণ যা আকৃষ্ট করবে বাঘকে। আর বনের কোর এরিয়ার মধ্যে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়া বাঘের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা হবে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ঠিক কতো।
আর এই কাজের জন্য প্রায় ৪০০ জন কর্মী নিযুক্ত থাকবেন। আর এখান থেকেই ১২ টি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে বাঘ গণনার এই কাজটি করবে তারা।


No comments:
Post a Comment