সভা চলাকালীন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী তথা কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য শামীমা পারভীনের স্বামী সুফি কামাল ওরফে পিন্টু সহ তিনজন দুষ্কৃতী সভাকক্ষে প্রবেশ করে তার মতো কাজ বণ্টনের দাবি তুলে প্রথমে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অনিন্দ দাস কে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তারপরে পঞ্চায়েত প্রধান আঞ্জুনারা খাতুনকে সঠিক কাজ বণ্টনের দাবিতে প্রাণে মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
পুলিশকে খবর দিতেই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতি সহ বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী। ঘটনাস্থলে আসে মানিকচক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই মর্মে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত কর্মচারীদের তরফে লিখিত ভাবে বিডিও কে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে গোপালপুর অঞ্চলের প্রধান অঞ্জুনারা খাতুন বলেন, আমাদের সাধারণ সভা চলছিল। এর মধ্যে হঠাৎ করে বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী সুফিকামাল ওরফে পিন্টু দুষ্কৃতিদের নিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুষ্কৃতীরা কোমরে গামছা বেঁধে তার মধ্যে অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। আমি প্রাণের আতঙ্কে আছি। কিভাবে আমি পঞ্চায়েত অফিসে আসবো। আমার সকল পঞ্চায়েত সদস্যরা ও আতঙ্কে রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তির ব্যবস্থার আবেদন করছি।
সাধারণ সভায় উপস্থিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বক্তব্য, প্রধানের চিঠি পেয়ে এই সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। সভার পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট চলার পর, তিন চার জন দুষ্কৃতী কালো রঙের ভয়ঙ্কর পোশাক পড়ে রণং দেহি অবস্থায় গামছায় করে আগ্নেয়াস্ত্র সহ প্রবেশ করে সভাকক্ষে। নির্মাণ সহায়ককে বলে সঠিকভাবে কাজ বন্টন না করলে প্রধান সহ সকল মেম্বার কে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
এই বিষয়ে সভায় উপস্থিত কংগ্রেস সদস্য সহরুল হক বলেন, আমি নিজেই কংগ্রেসের সদস্য। হঠাৎ করে বিজেপির বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসেছে ও হুমকি দিয়েছে। আমি এই বিষয়ে আমাদের দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। এই বিষয়ে বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী সুফি কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক বলে জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment