দীর্ঘ ২২ মাস পর স্কুল খুললো রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি আসানসোল ও কুলটির নিয়ামতপুরে। স্কুলে প্রবেশ করছে কোভিড বিধি মেনে। এবং সকল ছাত্রীদের স্যানিটাইজার ও বডি টেম্প্রেচার দেখেই স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের।
এদিন জলধি কুমারী দেবী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সৃজা সরকার জানায়, ২২ মাস পরে স্কুলে এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা অনলাইনে ক্লাস করতাম, হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে , ফোনে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতাম। কিন্তু স্কুলে এসে সামনা সামনি বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার মজাই আলাদা। ছাত্রী আরো জানান, আমরা যদি সবাই মাস্ক, স্যানিটাইজার ও নিয়ম মেনে সচেতন থাকি তাহলে কিসের ভয়। বাড়িতে এতো দিন অনলাইনে ক্লাস, টিউশন পড়ে, খেলা ধুলা করে দিন কেটেছে। পরীক্ষা হচ্ছিল না, আমরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছিলাম। তাই স্কুলে এসে খুব ভালো লাগছে।
অন্যদিকে আসানসোলের ধাদকা এন সি লাহিড়ী বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী ঐশানি পাল জানান, এই কোভিড পরিস্থিতে পড়াশোনা রীতিমত নষ্টই হয়ে গিয়েছে বলে চলে। প্রায় ২ বছর পর স্কুল খুললো রীতিমত আনন্দে আত্নহারা হয়ে গেছি। আমরা চাইনা যে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। এইরকমই যেনো চলতে থাকে। তবে এই পরিস্থিতে বাড়িতে থেকে যেটুকু পড়াশোনা হয় ততটুকুই পড়াশোনা করেছি। কিন্তু স্কুলে এসে যে পড়ার আনন্দ টা মনে হয় সেটা বাড়িতে মিশে গেছে।
এদিন নমিতা সাউ নামে এক ছাত্রী জানায়, স্কুল খোলায় খুব ভালো লাগছে। অনেক দিন পর স্কুলে এসে সব বন্ধুদের দেখা হয়ে ভালো লাগছে।
শ্রেয়া মাঝি নামে এক ছাত্রী জানায়, ২২ মাস পরে স্কুলে এসে প্রচন্ড ভালো লাগছে। এতো দিন পর সবার সাথে দেখা হলো। এতদিন ফোনের মাধ্যমেই পড়াশোনা হয়েছে।
কৌসানী পাত্র নামের এক ছাত্রী জানায়, এই দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকার কারণে আমাদের দু বছর পুরো নষ্টই হয়েছে। স্কুলে এসে পড়াশোনা করার মজাটাই আলাদা। আমি চাই, আর যেনো স্কুল বন্ধ না হয়।
প্রিয়াঙ্কা মন্ডল নামের এক অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রী জানায়, ২২ মাস পরে স্কুল খুলে সত্যিই ভালো লাগছে। এতদিন বাড়িতে অল্পসল্প পড়াশোনা করেছি।
রতিকা রুইদাস নামের এক ছাত্রী জানায়, স্কুল খোলায় দারুন লাগছে। এতদিন বাড়িতে থেকে মজা লাগছিল না। বাড়িতে একটু পড়াশোনা করেছি। স্কুল খোলায় খুব খুশি।
বর্ণালী হালদার নামের এক ছাত্রী জানায়, স্কুল খোলায় খুব ভালো লাগছে। বাড়িতে পড়াশোনা করে সেভাবে বোঝা যায় না। স্কুলে এসে পড়াশোনা করার ব্যাপারটাই আলাদা।
No comments:
Post a Comment