রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল : পশ্চিমবঙ্গের চার পৌর নিগমের গণনায় অব্যাহত সবুজ ঝড়। আর সেই সবুজ ঝড় থেকে বাদ যায়নি আসানসোল পৌরনিগমও। আর সেই সবুজ ঝড়ের মাঝেও পাল্লায় পাল্লায় সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই চলেছিল আসানসোল পৌর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে।
আর সেই লড়াই শেষে দেখা যায় আসানসোলের-৩১ ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএমের প্রার্থী দু’জনেরেই প্রাপ্ত ভোট সমান। আর সেই কারণে দীর্ঘক্ষণ স্থগিত রাখা হয় ওই ওয়ার্ডের ভোট গণনা। জানা যায় আসানসোল পুর নিগমের ৩১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আশা প্রসাদ ও সিপিএমের প্রার্থী তনুশ্রী রায়ের মধ্যে লড়াই চলে সোয়ানে সোয়ানে। যেখানে দু’ জনেই ২,৩৫৮ টি করে ভোট পায়। তাদের দু ’জনের থেকে অনেকটা পিছিয়ে যায় বিজেপি প্রার্থী রেখা কুমারী শর্মা। তার প্রাপ্ত ভোট ১,০০২ টি।
আর এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএমের দুই প্রার্থীর সম সংখ্যক ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিকে কমিশন সূত্রে খবর, টাই হলে টসের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণের প্রথা আগেও ছিল। আগে একটি ১০ পয়সার কয়েন দিয়ে টস করা হত। তবে এখন সেই ব্যবস্থায় কিছুটা অদলবদল ঘটেছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দু’টি কাগজে দুই প্রার্থীর নাম লেখা হয়। প্রার্থীদের নাম লেখা ঐ কাগজের টুকরো দু’টি একটি পাত্রে রাখা হয়। তার পর এক জন গণনা কর্মী ওই বাক্স থেকে যে কোনও একটি কাগজ তুলে নেন। আর সে ভাবেই সোমবার দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনার সময় ৩১ নং ওয়ার্ডের দুই প্রার্থীকে হলের মধ্যে ডাকা হয়। এরপর ঐ পাত্র থেকে কাগজের টুকরো তুলতে বলা হয়। আর তাতেই তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী তোলা কাগজের টুকরোয় তৃণমূল প্রার্থীর নাম লেখা ছিল। আর তাতেই তাকে জয়ী বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আর এই জয় প্রসঙ্গেই এদিন তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। অন্যদিকে, লটারিতে হার মেনে নিয়েও সিপিএমের প্রার্থী বলেন, মানুষের ভোটে আমি হারিনি, হেরেছি লটারিতে। কমিশন এই পদ্ধতিতে তিনি বলেন, কি করা যায়, পরবর্তী কালে সবার সঙ্গে আলোচনা করছি। আর আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
No comments:
Post a Comment