দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা সম্বন্ধে জানুন কিছু অজানা কথা
নিজস্ব প্রতিবেদক , আমার কলম :- আজ, শুক্রবার, ১৭ ই সেপ্টেম্বর, বিশ্বকর্মা পুজো। আর এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন, দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা সম্বন্ধে জানুন কিছু অজানা কথা। কথিত আছে, কারিগরী শিল্পের দেবতা হলেন বিশ্বকর্মা। আজ, বিভিন্ন জায়গায় তার আরাধনা করা হয়। হিন্দু শাস্ত্র মতে, হিন্দু ধর্মে বিশ্বকর্মা পুজো একটি বড়ো ধর্মীয় উৎসব। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে দেবতাদের শিল্পের কারিগর বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়ে থাকে।
পুরাণ অনুসারে, বিশ্বকর্মা হলেন কারিগরী দেবতা। তার পিতা হলেন, অষ্টম বসু প্রভাস। বৃহস্পতি ভগিনী, বরবর্ণিনী হলেন তার মাতা। অন্যদিকে, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে, ব্রহ্মার নাভি থেকে জন্ম হয় বিশ্বকর্মার। ভগবত পুরাণ অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা, শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা পুরীর নির্মাণ করেছিলেন।
বিশ্বকর্মা, মহারাজ কুবেরের অলকা পুরী ও দিব্য বিমান এর নির্মাণ কর্তা। রাবণের স্বর্ণ লঙ্কার নির্মাতাও তিনিই। অগস্ত্য মনির ভবন তিনি তৈরি করেছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের ইন্দ্রপুরীর নির্মাণ করেছিলেন তিনিই। মৎস্য পুরাণ মতে, জগতের সমস্ত কিছুর প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিশ্বকর্মা। দেবতাদের অস্ত্রাগারের সৃষ্টিকর্তা তিনি। সমস্ত দেবতাদের দৈব রথ ও দৈববাণ তিনি তৈরি করেছেন। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, মহাদেবের ত্রিশূল ও পরশুরামের ধনুক তিনিই নির্মাণ করেন। শ্রীশ্রীচণ্ডী কথনে উল্লেখ আছে, মহিষাসুর বধের সময় দেবী দুর্গাকে কবজ ও বর্শা দান করেছিলেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুত্র, নীলবীর তৈরি করেছিলেন রাবণের পুষ্পক রথ। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা ও তার স্ত্রী ঘিতাচি, ব্রহ্মার অভিশাপে ধরাধামে জন্মগ্রহণ করেন। ঘিতাচি, নয়টি সন্তানের জন্ম দেন। বিশ্বকর্মা, তাদের প্রত্যেককে নানান শিল্পকর্মে পারদর্শী করে তোলেন।
বিশ্বকর্মা, কর্মকারকে লৌহ শিল্প, মালাকারকে পুষ্প শিল্প, শঙ্খ কারকে শঙ্খ শিল্প, কাংসকারকে কাংস শিল্প, কুবিন্দককে বয়ন শিল্প, সূত্রধর কে কাষ্ঠ শিল্প, স্বর্ণকারকে অলংকার শিল্প, কুম্ভকার কে মৃৎশিল্প ও চিত্রকর কে অঙ্কন শিল্পে পারদর্শী করে তোলেন। বায়ু পুরান ও পদ্মপূরাণ অনুযায়ী, ভক্ত প্রহ্লাদ এর কন্যা বিরোচনার গর্ভে জন্ম লাভ করেন বিশ্বকর্মা পুত্র এবং তিনি অসুরদের কারিগর ময় দানব হন।
No comments:
Post a Comment