দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক নাম ' নীলকন্ঠ ' হল কেন?
নিজস্ব প্রতিনিধি :- শ্রী বিষ্ণুর আদেশে, দেবগন ও অসুর গণ একসাথে সমুদ্র মন্থন করেন। এই সমুদ্র মন্থনের ফলে সমুদ্র থেকে উঠেছিলেন দেবী লক্ষ্মী ও বিভিন্ন ধরনের মণি মানিক্য, ধনরত্ন, আরো কতো কী। আর এই সমুদ্র মন্থনের একটি পর্যায়ে সমুদ্র থেকে উঠেছিল হলাহল নামক একটি মারাত্বক বিষ। এই হলাহল এর ফলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল জীবের জীবন বিনষ্ট হবার উপক্রম হয়েছিল। তখন দেবাদিদেব মহাদেব সেই হলাহল বিষ পানের দায়িত্ব নিজে নিলেন। তিনি সমস্ত বিষ পান করেন এবং তা কণ্ঠে ধারণ করেন। এর ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীলাভ রূপ ধারণ করেন। আর সেই জন্যই দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক নাম হয় ' নীলকন্ঠ '।
মহাদেবের উপর এই হলাহল বিষ এর কোনো প্রভাব না পরলেও, এই বিষ এর বিষাক্ততার মাত্রা ছিল প্রচন্ড। দেবতাগণ এই হলাহল বিষ এর তাপমাত্রার প্রভাব প্রশমিত করবার জন্য মহাদেবের গঙ্গা অভিষেকের ব্যাবস্থা করেন। এই গঙ্গা অভিষেকের মাধ্যমে দেবতাগণ মহাদেবকে প্রসন্ন করেছিলেন। সমুদ্র মন্থনের সময় যে মহাদেবের গঙ্গা অভিষেক করেছিলেন দেবতাগণ, মহাদেবের উপাসকদের দ্বারা শিবলিঙ্গে দুধ ঠালার কারণ হচ্ছে মহাদেবের প্রতি ভক্তদের ভক্তি প্রতিভাস করার জন্য। মহাদেবের পূজার সময় শিবলিঙ্গে দুধ ঠালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তার কারণ অভিষেক ছাড়া মহাদেবের পুজো অসম্পূর্ণ।
No comments:
Post a Comment