পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় তার শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। ওই বৃদ্ধার ছেলে রক্ত জোগাড় করতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে বহুবার ঘোরাফেরা করছিলেন। কিন্তু মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে রক্তের ভার প্রায় শূন্যের মুখে।। তাই বৃদ্ধার ছেলে রক্ত জোগাড় করতে পারছেন না মায়ের জন্য।
এই খবর মালদা ইংরেজ বাজার থানার এসআই সুজিত কুমার চৌধুরীর কাছে ফোন মারফত পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছুটে আসেন নিজের ডিউটি ছেড়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগীর ছেলের কাছ থেকে সমস্ত বিষয় শুনেন ওই পুলিশকর্তা। এরপর তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে পৌঁছান বৃদ্ধার ছেলেকে নিয়ে। সেখানেই ব্লাড দেন ওই পুলিশকর্তা।
পুলিশের এই মহৎ কাজকে দেখে খুশি বৃদ্ধার ছেলে উজ্জল সিংহ। উজ্জ্বল বাবু জানান, মায়ের রক্তের যোগান দিতে সকাল থেকেই তিনি বহুবার মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘোরাফেরা করছিলেন কিছুতেই তার মায়ের রক্ত তিনি জোগাড় করতে পারছিলেন না। ফোন মারফত তিনি ওই পুলিশ আধিকারিক এর খবর পান। এরপর তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন ওই পুলিশ কর্তার সাথে। তার ফোনেই ছুটি আসেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনি মায়ের রক্তের ও পজেটিভ রক্ত জোগাড় করেন পুলিশকর্তার কাছ থেকে।
তিনি আরও জানান, পুলিশকে দেখে সকলেই ভয় করে, আমিও ভয় করি, কিন্তু পুলিশ এইভাবে আমার পাশে এসে দাঁড়াবে এবং আমার মাকে একটি নতুন জীবন ফিরিয়ে দেবে স্বপ্নেও ভাবতেই পারিনি। তাই তিনি পুলিশ কর্তা কে ধন্যবাদ জানান।
No comments:
Post a Comment